Friday, August 24, 2018

Class - 01 (প্রথম ক্লাস)

First Class: 01 
থিওরী-Theory
1.1: What is Computer? (কম্পিউটার কাকে বলে ?
উত্তরঃ কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। কম্পিউটার শব্দিটি গ্রীক শব্দ থেকে এসেছে। 
1.2: Function of Computer (কম্পিউটারের কাজ)
উত্তরঃ কী কোর্ড, মাউস ইত্যাদি ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে কোন ডেটা কম্পিউটারে ইনপুট করলে উহা প্রসেস করে থাকে।
     ক. তথ্য আদান প্রদান।
     খ. ডিজাইন করা যায়।
     গ. বিনোদন ও গেম খেলা যায়।
     ঘ. হিসাব নিকাশ রাখা যায়।
     ঙ. ফ্রিলান্সিং আউটসোর্সিং 
1.3: History of Computer (কম্পিউটারের ইতিহাস) 
উত্তরঃ কম্পিউটার
Computer শব্দটি গ্রিক শব্দ Compute শব্দ থেকে এসেছে। Compute শব্দের প্রাচীণ অর্থ হিসাবকরা, গণনাকরা, পরিমাপকরা বা ধারনাকরা। Computer শব্দের অর্থ গণনাকারীযন্ত্র।মূলতঃ এটি তৈরি করা হয়েছিল গণনার জন্য।কিন্তু বর্তমানে এটি জটিল ও কঠিন হিসাব নিকাশ
ছাড়া ও আরো অনেক কাজে ব্যবহার হচ্ছে। কম্পিউটারের কাজেরগতি হিসেবকরা হয় ন্যানো সেকেন্ডে।ন্যানো সেকেন্ড হল এক সেকেন্ডের একশ কোটি ভাগের একভাগ।ইলেকট্রনিক প্রবাহের মাধ্যমে এটি তার যাবতীয় কার্য সম্পাদন করে।
1.4: Computer Generation (কম্পিউটারের প্রজন্ম) 
উত্তরঃ
>> প্রথম প্রজন্ম (১৯৫১-১৯৫৯)
>>দ্বিতীয় প্রজন্ম (১৯৫৯-১৯৬৫)
>>তৃতীয় প্রজন্ম (১৯৬৫-১৯৭১)
>> চতুর্থ প্রজন্ম (১৯৭১- বর্তমান)
>> পঞ্চম প্রজন্ম (ভবিষ্যৎ প্রজন্ম)

1.5: কম্পিউটারের শ্রেনীবিভাগ আলোচনা কর। 
উত্তরঃ আকার, আয়তন ও আকৃতি এবং ক্ষমতার ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটারকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায় -   
১. সুপার কম্পিউটার ।
২. মেইনফ্রেম কম্পিউটার।
৩. মিনি - কম্পিউটার।
৪. মাইক্রো - কম্পিউটার বা পারসোনাল কম্পিউটার।

১) সুপার কম্পিউটার (Super Computer)
সুপার কম্পিউটার হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী, দ্রুতগতি সম্পন্ন ব্যয়বহুল কম্পিউটার। আকৃতিগত দিক হতে সবচেয়ে বড় আকৃতির এ শ্রেণীর কম্পিউটার গুলোর তথ্য সংরক্ষন ক্ষমতা, কার্য সম্পাদনের বা তথ্য প্রক্রিয়াকরনের দ্রুততা অবিশ্বাস্য রকমের। সুপার কম্পিউটারের সাহায্যে অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও জটিল বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষনকাজ করা যায়। বর্তমানে ব্যবহৃত সুপার কম্পিউটার গুলোতে একসঙ্গে একাধিক প্রসেসর ব্যবহার করা হয়। সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষনা, বিপুল পরিমান তথ্য বিশ্লেষন, নভোযান, জঙ্গি বিমান এবং ক্ষেপনাস্ত্র নিয়ন্ত্রন, মহাকাশ গবেষনা, পরমাণু গবেষনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
আমেরিকা ও জাপানের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান সুপার কম্পিউটার তৈরি করে। এদের মধ্যে আমেরিকার Cray Research Inc, Data Control Corporation  এবং জাপানের Nippon Electric Company  এর নাম উল্লেখযোগ্য। CRAY – 1, CYBER – 205 ইত্যাদি সুপার কম্পিউটারের উদাহরন।

২) মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer
মেইনফ্রেম হচ্ছে এমন একটি বড় কম্পিউটার যার সাথে টারমিনাল  (নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটার) যুক্ত করে এক সাথে অনেক মানুষ কাজ করতে পারে। এ কম্পিউটারে একাধিক প্রক্রিয়াকরণ অংশ থাকে। বড় বড় প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। যেমন ব্যাংক, বীমা, অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান, বৈজ্ঞানিক গবেষনার পরিচালনা নিয়ন্ত্রন ও বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের জন্য মেইনফ্রেম কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৬৫ সালে পরমাণু শক্তি কমিশনে মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট কোম্পানি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত হয়। UNIVAC 1100/01, IBM 4341, NCR N 8370 ইত্যাদি কম্পিউটার এ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।

৩) মিনি কম্পিউটার (Mini Computer
মিনি - কম্পিউটারকে মিনি - ফ্রেম কম্পিউটারও বলা হয়। মেইনফ্রেম কম্পিউটারের চেয়ে ছোট আকারের এ কম্পিউটার টার্মিনালের মাধ্যমে একসঙ্গে অনেক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে। এর কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরন অংশের জন্য সাধারনত এক বোর্ড বিশিষ্ট বর্তনী ব্যবহৃত হয়। বড় আকারের শিল্প ও গবেষনা প্রতিষ্ঠানে মিনি - কম্পিউটারের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে। ব্যংকিং কার্যক্রমে এ ধরনের কম্পিউটারের সচারাচার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। PDPII, IBM, S/34, NCR, S/9290 ইত্যাদি মিনি কম্পিউটারের উদাহরন।

৪) মাইক্রোকম্পিউটার (Microcomputer
মাইক্রোকম্পউটার হচ্ছে মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে সর্বাপেক্ষা বহুল ব্যবহৃত কম্পিউটার। সাধারনত একজন লোক একটি কম্পিউটার ব্যবহার করে বলে মাইক্রোকম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি বলা হয়। এ জাতীয় কম্পিউটার সহজে বহনযোগ্য, দাম তুলনামূলকভাবে কম এবং রক্ষনাবেক্ষনও সহজ হওয়ার ফলে ব্যবহাকারীদের মাঝ ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক, দাপ্তরিক, সরকারি, সর্বোপরি বিনোদনমূলক কর্মকান্ডে এ ধরনের কম্পিউটার গুলোর ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। IBM PC, APPLE Macintosh ইত্যাদি মাইক্রোকম্পিউটারের উদাহরন। প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নতির সাথে সাথে মাইক্রোকম্পিউটারের আকৃতিতে নানা রকম পরিবর্তন হয়েছে। মানষের ব্যবহারিক সুবিধার প্রতি লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন আকৃতিতে মাইক্রোকম্পিউটার বাজারে এসেছে। যেমন -  
১. ডেস্কটপ কম্পিউটার।
২. ল্যপটপ কম্পিউটার।
৩. নোটবুক কম্পিউটার।

(১)  ডেস্কটপ কম্পিউটার (Desktop Computer
ডেস্কে বা টেবিলে স্থাপন করে যে মাইক্রোকম্পিউটার ব্যবহার করা যায় তাকে ডেস্কটপ কম্পিউটার বলে। বিভিন্ন রকম কাজে অফিস Ñ আদালতে এ জাতীয় কম্পিউটার ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

(২) ল্যাপটপ কম্পিউটার (Laptop Computer)
সহজে বহনযোগ্য এ ধরনের কম্পিউটার গুলোর বহ্যিক আকার ব্রিফকেসের মতো। ল্যাপ (খধঢ়) অর্থ হলো কোলের উপরে। কোলের উপরে রেখে ব্যবহার করা যায় বলে একে ল্যাপটপ কম্পিউটার বলে। বর্তমানে ল্যাপটপ কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা পারসোনাল কম্পিউটার বা ডেস্কটপ কম্পিউটারের সমতুল্য বলা চলে।

(৩) নোটবুক কম্পিউটার (Notebook Computer
নোটবুকের মত ছোট আকৃতির ও হাতে রেখে ব্যবহার করা যায় বলে এ কম্পিউটার গুলোকে নোটবুক কম্পিউটার বলে। এ কম্পিউটার গুলোর আকার নোটবুকের মত।



প্রাকটিক্যাল - ০১ঃ
(১) নিজের সিভি/বায়োডাটা তৈরি করুন। নিজের নামে একটি ফোল্ডার তৈরি করুন এবং সেখানে নিজের নামে ফাইলটি সেভ করুন।
প্রশ্নসমূহ ঃ ১ থেকে ২০
১। কম্পিউটার শব্দের অর্থ কি? উত্তর ঃ গণনাকারী যন্ত্র।
২। আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে? উত্তরঃ চর্লস ব্যাবেজ (ইংল্যান্ড)
৩। কম্পিউটারের স্মৃতি কত প্রকার? উত্তরঃ ২ প্রকার।
৪। L.C.D শব্দের অর্থ লিখ। উত্তরঃ Liquid Crystal Display
৫। পিসি অর্থ কি ? উত্তরঃ পাসসোনাল কম্পিউটার । Personal Computer.
৬। সিপিইউ - সেন্টাল প্রোসেসিং ইউনিট   Central Processing Unit
৭। ১কিলোবাইট সমান কত বাইট? 1024 বাইট।
৮। কম্পিউটারের স্থায়ী স্মৃতিকে কি বলে? উত্তরঃ রম
৯। কম্পিউটার এর আবিষ্কারক কে? উত্তরঃ হাওয়ার্ড এ্যাইকিন। (যুক্তরাষ্ট্র)
১০। কম্পিউটারের কোনটি নেই? উত্তরঃ নিজস্ব বুদ্ধি বিবেচনা।
১১। ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব এর আবিষ্কারক কে? উত্তরঃ স্টিভ চ্যাল ও জাভেদ করিম।
১২। ই-মেইল কি ? উত্তরঃ ইলেকট্রনিক্স মেইল।
১৩। কোনটি কম্পিউটারের সকল কার্য ক্রম নিয়ন্ত্রণ করে? উত্তরঃ সি.পি, ইউ
১৪। কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয় কাকে? উত্তরঃ মাইক্রো প্রোসেসর।
১৫। কম্পিউটার এর যন্ত্রাংশকে কি বলে? উত্তরঃ হার্ড ওয়্যার।
১৬। বর্তমান কম্পিউটার জগতে কিংবদন্তী কে?
১৭। কম্পিউটারের বায়োস কাকে বলে? BIOS= Basic Input and Output System
১৮। কম্পিউটারের প্রধান প্রিন্ডেড বোর্ডকে কি বলা হয়। উত্তরঃ মাদারবোর্ড।
১৯। কম্পিউটারের র‌্যাম কি? উত্তরঃ RAM-Random Access Memory.
২০। কম্পিউটার পদ্ধতির দুটি প্রধান অঙ্গ দুটি কি কি? উত্তরঃ হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার। 

Class - 02 (Keyboard)


ক্লাশ - ০২


৪.১ কম্পিউটারের সংগঠন
কম্পিউটার এমন একটি মেশিন যা ডেটা গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন অংশের সমন্বয়ে ডেটা প্রসেস করে থাকে। ডেটাগুলো প্রসেসের পর ফলাফল আকারে দেখায়।

২.১.১ মাউস: মাউস একটি ইনপুট ডিভাইস। ইহার সাহায্যে ডেটা ইনপুট ও নির্দেশ প্রদান করা হয়। মাউসের সাধারনতঃ ডানে ও বামে ২টি বাটন থাকে। কোন কোন মাউসের মাঝখানেও একটি স্ক্রল বাটন থাকে। মাউসের বাম পাশের বোতাম চেপেট কমান্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও যে কোন প্রোগ্রামের উপর বাম বাটন চেপে প্রোগ্রাম চালু করা যায়। ডানপাশের বাটনটি বিশেষ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়ে থাকে। মাঝখানের স্ক্রল বাটনটির সাহায্যে উপরে ও নিচের লেখাগুলো দেখা যেতে পারে। কোন ফোল্ডার বা ফাইল মাউসের বাম বাটন ক্লিক করে সিলেক্ট করা যায়।


২.১.৩ স্ক্যানার: স্ক্যানার একটি ইনপুট ডিভাইস। ইহার মাধ্যমে ক্যামেরায় তোলা ছবি, মুদ্রিত কোন ছবি বা লেখা হুবুহু কম্পিউটারের ইনপুট করার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। উক্ত ইনপুটকৃত তথ্য কম্পিউটারে সংরক্ষন করে রাখা যায় এবং পরবর্তীতে প্রিন্ট আকারে বের করা যায়।

২.২ সিষ্টেম ইউনিট/প্রসেস ইউনিট:  সিষ্টেম ইউনিট কম্পিউটার সেটের কেসিং অংশটিকে বুঝায়। এই কেসিং অংশটির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ থাকে। কম্পিউটার কোন ডেটা ইনপুট করার পর এই সকল যন্ত্রাংশ দ্বারা ডেটাগুলো প্রসেসিং হতে থাকে। সুতরাং কম্পিউটারের যে অংশে ইনপুটকৃত ডেটা প্রসেস করে তাকে সিষ্টেম ইউনিট বলে।

2.3 CPU (Central Processing Unit)
সিপিইউ এর তিনটি অংশ রয়েছে-

১. কন্ট্রোল ইউনিট
২. অ্যারিথমেটিক লজিক ইউনিট(ALU)
৩. মেমরি/রেজিষ্টার ইউনিট(RAM/ROM)

২.৩.১ কন্ট্রোল ইউনিট: এর কাজ হলো প্রতিটি নির্দেশকে সঠিকভাবে পরীক্ষা করে কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সংকেত তৈরী করা। নিয়ন্ত্রন অংশ প্রোগ্রামের নির্দেশসমূহকে একটির পরে একটি সঠিকভাবে অনুধাবনের পর কার্যকর করে।

২.৩.২ অ্যারিথমেটিক লজিক ইউনিট: বিভিন্ন প্রকার লজিক সার্কিট এর সমন্বয়ে গাণিতিক ও যুক্তি অংশ গঠিত। এই অংশে যাবতীয় গাণিতিক (যেমন: যোগ, বিয়োগ,গুন,ভাগ ইত্যাদি) ও যুক্তিমূলক সমস্যার সমাধান করে। কাজ শেষে ফলাফল প্রধান স্মৃতিতে জমা হয় এবং আউটপুট ডিভাইসে প্রেরিত (মনিটর) হয়।

২.৩.৩ মেমরি/রেজিষ্টার ইউনিট: কোন প্রোগ্রাম নির্দ্ধারনের সময় এই অভ্যন্তরীন রেজিষ্টারগুলো স্বল্পক্ষণ ডেটা সংরক্ষণ এবং গাণিতিক যুক্তি অংশে তথ্য প্রক্রিয়াকরনের কাজে রেজিষ্টারগুলো ব্যবহৃত হয়। এই সকল রেজিষ্টারে দ্রুত লিখন ও পঠন সম্ভব।

২.৪ আউটপুট ডিভাইস: কম্পিউটারের যে অংশের মাধ্যমে প্রসেসকৃত ডেটা আউটপুট হিসাবে দেখতে পাই তাকে আউটপুট ডিভাইস বলে।

২.৪.১ মনিটর: কম্পিউটারের যাবতীয় কার্যক্রমকে প্রদর্শনের জন্য যে পর্দা ব্যবহার করা হয় তাকে সহজ ভাষায় মনিটর বলে। পর্দায় যে ছবি প্রদর্শিত হয় তা ক্ষুত্র ক্ষুদ্র ডট এর সমষ্টির প্রতিচ্ছবি। এই ডটগুলোকে পিক্্েরলস বলে। প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে মনিটর ২ প্রকার। যথা- ১. সিআরটি মনিটর ও ২. এলসিডি/এলইডি মনিটর।

২.৪.২ প্রিন্টার: প্রিন্টার একটি আউটপুট ডিভাইস। কম্পিউটারের তথ্য প্রক্রিয়াকরনের ফলাফলকে লিখিত আকারে পাওয়ার জন্য প্রিন্টার ব্যবহার করা হয়।

===
===============কি-র্বোড পরিচিতি ================
২.১.২ কী-বোর্ড: কী-বোর্ড একটি জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত ইনপুট ডিভাইস।এর সাহায্যে কম্পিউটারে বিভিন্ন উপাত্ত, তথ্য, নির্দেশ প্রদান করা হয়। কী-বোর্ডের কোন কী চাপ দেওয়াকে প্রেস বলা হয়। অধুনা উইন্ডোজ ভিত্তিক কী-বোর্ডের কী-এর সংখ্যা একশত চারটি কিংবা এরও বেশি। সাধারনত কম্পিউটার কী-বোর্ডের কী গুলোকে নিম্নের ছয়টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। 
যেমন t  
1| Alphabetic Key 
2| Numeric Key 
3| Function Key  
4| Arrow Key 
5| Special Key 
6| Command Key.

            Alphabetic Key t কী-বোর্ডের A,B,C,-----,X,Y,Z ইত্যাদি যে কী-গুলো দেখা যায়, এ গুলোকে Alphabetic Key বলা হয়। এই কীগুলোর সাহায্যে বিভিন্ন লেখা টাইপ করা যায়।

কম্পিউটার কী-বোর্ডের টাইপিং কী-গুলোর মধ্যে বিশেষ বিশেষ কিছু কী আছে তাদের কাজ নিম্নে বর্ণনা করা হলো-
            Tab Key t এই কী-তে চাপ দিলে ডান দিকে যেভাবে ট্যাব সেট করা আছে কার্সর সে ঘরগুলোতে লাফ দিয়ে যাবে। সাধারনত ঃ একবার ট্যাব চাপলে কার্সর ০.৫" ডানদিকে যাবে।
            Caps Lock Key t সাধারনভাবে যখন টাইপ করা হয় তখন ইংরেজী ছোট হাতের অক্ষর টাইপ হয়ে থাকে। Caps Lock Key টি ON করে টাইপ করা হলে লেখাসমূহ বড় হাতের হবে।
            Shift Key t সাধারনতঃ কোন অক্ষর বড় হাতের প্রয়োজন হলে Shift বোতামের দরকার হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রোগ্রামে এই কী চেপে ধরে বিভিন্ন কমান্ড দেয়া হয়।
            Enter Key t যে কোন স্থানে কার্সর স্থাপন করে এই কী চাপলে কার্সর নিচের লাইনে চলে আসে। তাছাড়া প্রোগ্রামে কমান্ড প্রোয়েগেও এই কী কাজ করে।
            Backspace Key t এই কী একবার চাপলে কার্সর তার বাম দিকের অক্ষর মুছবে।
            Spacebar Key t লেখার মধ্যে ফাকাঁ সৃষ্টি করার জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়।

2| Numeric Key t কী-বোর্ডের ডান পার্শ্বের প্রান্তে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সাধারনত ক্যালকুলেটরের মত ১,২,৩, +, / ইত্যাদি কী থাকে, এগুলোকে Numeric Key বলে।

3| Function Key t কী-বোর্ডের উপরের প্রান্তে লক্ষ্য করলে F1----F12 পর্যন্ত কতকগুলো নম্বর দেয়া কী পরিলক্ষিত হবে। এইগুলোকে ফাংশন কী বলে। বিভিন্ন প্রোগ্রামে উক্ত কীগুলোর ব্যবহার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।

4| Arrow Key t এই কীগুলো ব্যবহার করে কার্সরকে বামে, ডানে, উপরে ও নিচে আনা নেয়া করা যায়।

5| Special Key
            Del Key t এই কী একবার চাপ দিলে কার্সরের ডান দিকের অক্ষর মুছবে।
Pause Key tকিছু কিছু বার্তা রয়েছে যা মনিটরে সামান্য সময়ের জন্য প্রদর্শিত হয়, উক্ত বার্তাগুলো পড়ার জন্য এই কী একবার চাপ দিলে বার্তাগুলো স্থায়ী থাকে। পুনরায় যে কোন বোতাম চাপলে পূর্বের অবস্থায় বার্তাগুলো চলে যাবে।
6| Command Key
            Escape Key t কী-বোর্ডের সর্ব বাম পার্শ্বের উপরের Esc লেখা কীটিকে Escape Key বলে। এই কীএর সাহায্যে কমান্ড বাতিল করা হয়।
Ctrl Key Ctrl লেখা কীকে কন্ট্রোল কী বলা হয়। এই কীএর সাহায্যে বিভিন্ন কমান্ড প্রয়োগ করা হয়।
Alt Key t এই কীকে অল্টার কী বলে। এই কীর সাথে বিশেষ কিছু ক্যারেক্টার কী ব্যবহার করে মেনু নির্বাচন করা হয়।

Enter Key :
            Keyboard G Enter লেখা কিংবা     চিহ্নিত দুইটি কী থাকে।  এগুলো এন্টার কী। একটি থাকে Alphabetic Key গুলোর ডানে এবং অন্যটি থাকে নিউমেরিক কীপ্যাডের সাথে। Enter Key সর্বাপেক্ষা ব্যবহৃত কী । টেক্সট এর যে কোন স্থানে কারসর স্থাপন করে Enter Key চাপলে কারসার নিচের লাইনে চলে আসে। তাছাড়া টেক্সট এ্যালাইনমেন্টের জন্য Enter Key সাহায্য করে।
Tab Key:
একটি ট্যাব থেকে অন্য ট্যাবে কারসার দ্রæত স্থানান্তরের জন্য Tab Key চাপতে হয়। Keyboard এর বামে Tab লেখা চিহ্নটি Tab Key কী। আবার Shift কী চেপে ধরে Tab কী চাপলে কারসার বামের ট্যাবগুলোতে আসতে থাকে।
Backspace Key :
            Function Key F12 এর ঠিক নিচে অবস্থিত বাম এ্যারো  (     ) চিহ্নিত কী হচ্ছে Backspace কী| Type over Mode off  থাকা অবস্থায় এই কী চাপলে কারসার Text এর বামে অগ্রসর হতে থাকে এবং বামে অগ্রসর হবার সময় সামনে যে সমস্ত লেখা পায় সবই মুছে যায়। Typeover Mode অন থাকা অবস্থায় এই কী চাপলে টেক্সট (লেখা) মুছতে মুছতে কারসার বামে অগ্রসর হতে থাকে তবে Text এর অন্যান্য অংশ পূর্ববৎ অবস্থান করে। তাছাড়াও এই কী Alignment  এর কাজ করে। যেমন ঃ কোন লাইনের প্রথমে কারসর স্থাপন করিয়ে এই কীতে চাপ দিলে উক্ত লাইনের টেক্সট উপরের লাইনের শেষে অবস্থান নেয়।
Delete Key :
            Keyboard এর Delete লেখা চিহ্নিত কীকে বলে Delete Key . কারসর অবস্থিত অক্ষর মুাছার জণ্য এই কী চাপতে হয়। উলে­খ্য যে, Numeric Keypad এর মধ্যে Del লেখা চিহ্নিত কী কে সম্পূর্ণ উচ্চারণে বলে Delete Key. Numlock off অবস্থায় এই কী দ্বারাও উপরোক্ত সুবিধা অর্জন করা যায়। 

Arrow Key : Keyboard Gi Spacebar এর ডানে অবস্থিত Arrow চিহ্নিত চারটি কী যাথাক্রমে -
** Up Arrow কী ** Down Arrow কী
** Right Arrow কী * Left Arrow  কী
সুবিধামত স্থানে কারসর স্থাপনে Arrow Key সমূহ সাহায্য করে। যেমন t Up Arrow কী চাপলে কারসর উপরের লাইনে যাবে।
Print Screen Key :   
ছাপানোর কমান্ড ব্যতীত সরাসরি স্ক্রীন থেকে কোন কিছু প্রিন্ট করার জন্য এই কী তে চাপ দিতে হয়। তবে প্রতিবার পিন্ট হয় প্রতি স্ক্রীনে যতটুকু Display  করে ততটুকু। অনেকটা ক্যামেরার মতো স্ক্রিনের একটি ছবি তুলতে পারে। আংশিক বা পূর্ণ ছবি নেওয়া সম্ভব।
Pause Key:  
কোন কিছু অনবরত Display না করে থেমে থেমে Display করানোর জন্য এই কী তে চাপ দিতে হয়। যেমনঃ ক্যাসেট প্লেয়ারে প্লে সামায়িক ভাবে off করাতে উহার pause লেখা button যেমন সুবিধা দেয়, এক্ষেত্রে ঠিক একই ধরণের সহায়তা করে থাকে। তবে একবার Pause কী তে চাপ দিয়ে আবার Run করাতে Enter অথবা অন্য কোন Key Press করতে হয়।
Home Key :
            Home লেখা চিহ্নিত Key বিভিন্ন প্রোগ্রামের কমান্ড প্রয়োগে সহায়ক Key হিসাবে কাজ করে। যেমন: এম এস ওয়াডে© Ctrl+Home  কমান্ড দিলে ডকুমেন্টের প্রথমে কারসর গমন করে।
End Key :
            End লেখা চিহ্নিত Key চাপলে কারসর তাৎক্ষণিকভাবে অবস্থান নেয় লাইনের শেষে। এম এস ওয়াডে© Ctrl+End কমান্ড দিলে ডকুমেন্টের শেষে কারসর গমন করে।
Page Up Key:     Page Up  লেখা চিহ্নিত Key চাপলে কারসর তাৎক্ষনিক ভাবে অবস্থান নেয় নির্দিষ্ট পৃষ্টার উপরে।
Page Down Key:    Page Down  লেখা চিহ্নিত Key চাপলে কারসর তাৎক্ষনিক ভাবে অবস্থান নেয় পরবর্তী পৃষ্ঠায়।
Spacebar Key :
            Keyboard এর সর্ব নীচের লাইনে অবস্থিত বেশ লম্বাকৃতির Key কে বলে Spacebar শব্দ তেকে শব্দের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টিতে প্রতিবার এই কী চাপতে হয় । কোন নিদিষ্ট অঞ্চলে কারসর স্থাপন করে লেখা আরম্ব করতে স্পেসবার চেপে চেপে সেই অঞ্চলে কারসর পৌছাতে হয়। কারসারক যদি কলমের নীবের সাথে তুলনা করা হয় তাহলে স্পেসবার হয় আ্গংুল।
Numeric Keypad:

            Keyboard এর ডানে সতেরোটি কী নিয়ে গঠিত Numeric Keypad. এই Key সমূহের মধ্যে Num Lock লেখা চিহ্নিত Key এই Keypad এর সুইচ হিসেবে কাজ করে। Num Lock কী on অবস্থায় কেবলমাত্র এই কী প্যাড এর Numeric Key ব্যবহারের সুযোগ অর্জিত হয়। Num Lock Key অফ অবস্থায় কাজ করে Numeric Key কী সমূহ বাদে বাকী সকল কী কাজ করে। . আর Num Lock off করেও Numeric Key সমূহ ব্যবহার করতে হলে Shift কী এর সহয়তা নিতে হয়। এই Keypad এর Numeric Key বর্গকৃতিতে অবস্থান করায় দ্রæত এন্ট্রি করার কাজ সহজ হয়। তাছাড়াও ব্যবহার করা যায় Arrow Key সমূহ। এই কীপ্যাডের এ্যারো সমূহ ব্যবহারের সময় শিফট কী এর সহযোগীতা নিতে হয়। যেমন : Num Lock কী on অবস্থায় Shift চেপে ধরে Arrow Key ব্যবহার করতে হয়। Numeric ডেটা দ্রæত এন্ট্রির সহায়ক বলে এই কী সমূহ সমষ্টিকে বলা হয় Numeric Keypad.


====================প্রশ্নগুলো পড়তেই হবে = ২০টি =====================
২১।ইন্টারনেট ব্যবহারে বর্তমানে শীর্ষ দেশ- -চীন
২২। IC চিপ দিয়ে তৈরী প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার- -Intel 4004
২৩।কত সালে প্রথম কম্পিউটার নেটওয়ার্ক চালু হয়? -১৯৭৯ সালে
২৪।কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কত প্রকার? -৪ প্রকার
২৫।চ্যাট (Chat) অর্থকি? -খোশ গল্প করা
২৬।বাংলাদেশে অনলাইন ইন্টারনেট সার্ভিস কবে থেকে চালু  হয়?
-১৯৯৬ সালের ৪ জুন । 
২৭।কম্পিউটারের এই ‘#’ চিহ্নকে কি বলে? উত্তর: – হ্যাসচিহ্ন
২৮।ওয়েব অর্থ কি?-–জাল
২৯।মাইক্রো শব্দের অর্থ কি? –ক্ষুদ্রাকার
৩০।অসংখ্য কম্পিউটারের সমন্বয়ে গঠিত বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কে কি বলা হয়? –ইন্টারনেট
৩১।কম্পিউটারের ব্যবহার নয় কোনটি? – স্বপ্নদেখা
৩২।মাউস ক্লিক বলতে কি বুঝায়?
– মাউসের বোতামে চাপা
৩৩।কম্পিউটার শব্দের উৎপত্তি কোন শব্দ থেকে? – Compute
৩৪।কম্পিউটারে কয় ধরনের ড্রাইভ থাকে? – ৩ ধরনের
৩৫।পাওয়ার-পয়েন্ট ফাইলকে বলা হয়- -প্রেজেনটেশন
৩৬।কোনটি ডাটা সংরক্ষণ ও স্থানান্তরের ব্যবহৃত হয়। -পেন ড্রাইভ
৩৭।নিচের কোনটি বাংলা লেখার সফটওয়্যার? –বিজয়
৩৮।তথ্য প্রযুক্তির শাখা নয় কোনটি? – ডাকবিভাগ
৩৯।অপারেটিং সিষ্টেম হচ্ছে - মানুষের মস্তিষ্কের বুদ্ধি।
৪০। Find কমান্ড থাকে কোন মেনুতে? – Home > Editing > Find


=============================প্রাকটিক্যাল==2wU ============================
(১) সিভি ফাইনাল তৈরি । 







Class - 03 (মেমরী)

Multimedia Training Academy
ক্লাশ - ০৩

৩.১ মেমোরি:
মেমোরি শব্দের অর্থ হচ্ছে স্মৃতি। কম্পিউটারের যে অংশে বিভিন্ন তথ্য ও নির্দেশাবলী সংরক্ষণ করে রাখা হয় সেই অংশকে মেমোরি বলে। কম্পিউটারে ইনপুটকৃত তথ্য প্রক্রিয়াকরনের সুবিধার জন্য মেমোরিতে উক্ত তথ্য জমা রাখা হয় এবং প্রয়োজনে তা কাজে লাগানো যায়।

৩.২ মেমোরির প্রকারভেদ :

মেমোরি প্রধানত দুই প্রকার-
১. প্রধান মেমোরি (Primary/Main Memory)
 ২. সহায়ক মেমোরি (Secondary/Auxiliary Memory)

৩.৩ প্রধান মেমোরি (Primary Memory) t


কম্পিউটারের সিপিইউ এর সাথে সংযুক্ত অভ্যন্তরিন মেমোরিকে প্রথান মেমোরি বলে। কম্পিউটারে ইনপুটকৃত তথ্য প্রথমে প্রধান স্মৃতিতে অবস্থান করে। সিপিইউ কর্তৃক প্রক্রিয়াকরণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রধান স্মৃতিতে তথ্য জমা থাকে। প্রধান মেমোরি ২ প্রকার। যথাঃ ১. RAM ও ২. ROM.

            ৩.৩.১. র‌্যাম (RAM) ঃ র‌্যাম এর পূর্ণ নাম হচ্ছে Random Access Memoryইহা একটি অস্থায়ী মেমোরি। র‌্যামকে কম্পিউটারের ওয়ার্ক স্পেস বলা হয়। র‌্যামে যে কোন সময় যে কোন তথ্য লেখা যায়, পড়া যায়, প্রয়োজনে মুছা যায়। এজন্য র‌্যামকে লিখন পঠন মেমোরিও বলা হয়। কম্পিউটারে যে ডেটাগুলো ইনপুট করা হয় তা প্রথমে র‌্যামে জমা হয়। এরপর প্রসেসর র‌্যাম থেকে ডেটা নিয়ে প্রসেস করে র‌্যামে দিয়ে দেয়। এরপর মনিটরে দেখতে পাওয়া যায়। কম্পিউটার অফ করলে/বিদ্যুৎ চলে গেলে সকল ডেটা র‌্যাম থেকে মুছে যায়। এই জন্য র‌্যামকে অস্থায়ী মেমোরি বলা হয়।

            ৩.৩.২ রম (ROM) t রম এর পূর্ণ অর্থ হলো Read Only Memory| এই মেমোরিতে তথ্য শুধু পড়া যায় কিন্তু লেখা সংশোধন করা যায় না। রম একটি স্থায়ী মেমোরি। কম্পিউটারের বিদ্যুৎ চলে গেলেও রমে সংরক্ষিত ডেটা মুছে যায় না। কম্পিউটার অন করার সাথে সাথে রম প্রত্যেকটি যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করে কম্পিউটারকে কাজের উপযোগী করতে সহায়তা করে।

৩.৪ সহায়ক মেমোরি (Secondary Memory) t

কম্পিউটারের যে স্মৃতিতে ডেটা স্থায়ীভাবে রাখা যায় সেই স্মৃতিকে সহায়ক স্মৃতি বলে। এই মেমোরিতে কম্পিউটারের অধিক পরিমান তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ও ইনপুটকৃত ডেটা প্রক্রিয়াকরনের পর প্রক্রিয়াজাত তথ্যসমূহ সংরক্ষনের জন্য সহায়ক মেমোরি ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে কম্পিউটারের সংগে বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি সহায়ক মেমোরি হল হার্ডডিস্ক, সিডি, ডিভিডি, পেন ড্রাইভ ইত্যাদি।



৩.৫ স্টোরেজ ডিভাইস:

কম্পিউটারের যে অংশগুলোতে ডেটা সংরক্ষিত করে রাখা হয় সেই অংশগুলোকে স্টোরেজ ডিভাইস বলে। যেমন ঃ হার্ডডিস্ক, সিডি, ডিভিডি ইত্যাদি। ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে ডেটা কম্পিউটারে ইনপুট করে স্টোরেজ ডিভাইসে সংরক্ষন করে রাখা যায়।



            ৩.৫.১ হার্ডডিস্ক ঃ ইহা কম্পিউটারের একটি বড় স্টোরেজ ডিভাইস। ইহার মধ্যে অনেক ডেটা রাখা যায়। কম্পিউটারে কাজ করার পর সংরক্ষণ করলে সাধারণতঃ হার্ডডিস্কে স্থায়ীভাবে জমা থাকে। কম্পিউটার অফ করলেও হার্ডডিস্কে জমা থাকা তথ্য মুছে যায় না। এর ধারন ক্ষমতা বর্তমানে ৫০০ গিগাবাইট এর উপর পর্যন্ত হয়ে থাকে।

            ৩.৫.২ সিডি (Compact Disk) t সিডি কম্পিউটারের ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসের কাজ করে থাকে। ইহার মাধ্যমে ডেটা/ছবি এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে নেয়া যায়। ইহার ধারনক্ষমতা ৬৫০ থেকে ৮০০ মেগাবাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে।

            ৩.৫.৩ ডিভিডি (Digital Versatile Disk) t ডিভিডি এর পূর্ণ নাম ডিজিটাল ভার্সাটাইল ডিস্ক। সিডির মতো ডিভিডিও কম্পিউটারের একটি ইনপুট/আউটপুট ডিভাইস। তবে সিডির চেয়ে ডিভিডি বেশী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। এতে কম্পিউটারের ডেটা সংরক্ষণ কাজে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া গান, ভিডিও ছবি ও বিভিন্ন ধরনের ছবি সংরক্ষন করে রাখা যায়।


            ৩.৫.৪ পেন ড্রাইভ:  পেন ড্রাইভ কম্পিউটারের একটি সহায়ক মেমোরি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পেন ড্রাইভের মাধ্যমে ডেটা, তথ্যাদি, প্রোগ্রাম বা অন্যান্য সফটওয়্যার এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর করা যায়। জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি অনেক সময় কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে মুছে যেতে পারে। এই মুছে যাবার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পেন ড্রাইভে ডেটা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়। পেন ড্রাইভ বিভিন্ন কোম্পানীর ও বিভিন্ন ধারনক্ষমতা সম্পর্ন হয়ে থাকে। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানীর ৮ গিগাবাইট পর্যন্ত পেনড্রাইভ পাওয়া যায়।

৩.৬ ক্যাশ মেমোরি (Cache Memory) t

কম্পিউটারের কাজের গতি বৃদ্ধির জন্য প্রসেসর ও প্রধান মেমোরির অন্তবর্তী স্থানে স্থাপিত বিশেষ ধরনের স্মৃতিকে ক্যাশ মেমোরি বলে। ক্যাশ মেমোরি প্রধান মেমোরি অপেক্ষা দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারে। সিপিইউ যে গতিতে কাজ করতে পারে প্রধান মেমোরি সেই গতিতে কজ করতে পরে ন। এই অসুবিধা দুর করার জন্য প্রধান মেমোরি ও সিপিইউ এর মাঝে ক্যাশ মেমোরি ব্যবহৃত হয়। কোন প্রোগ্রাম পরিচলনার সময় যে সকল তথ্য খুব কম সময়ের ব্যবধানে বার বার প্রয়োজন হয় সেই সকল তথ্য প্রধন স্মৃতি থেকে এই ক্যা মোেরিতে রাখা হয়। ফলে ডেটা প্রক্রিয়াকরনের গতি দ্রুত হয়।

৩.৭ মেমোরির ধারনক্ষমতা:
কম্পিউটারের মেমোরির ধারনক্ষমতা বলতে বুঝায় কম্পিউটার তার স্মৃতি স্থানে কতকগুলো বিট বা বাইট সংরক্ষণ করতে পারে। মেমোরির ধারন ক্ষমতা পরিমাপের এককগুলোর মধ্যে সম্পর্ক নিম্নে দেওয়া হলো-

8 বট= ১ বাইট

১০২৪ বাইট= ১ কিলোবাইট (KB)
১০২৪ কিলোবাইট  = ১ মেগাবাইট (MB)
১০২৪ মেগাবাইট   = ১ গিগাবাইট (GB)
১০২৪ গিগাবাইট   = ১ টেরাবাইট (TB)

৩.৮ বিট ও বাইট

বিট: কম্পিউটারের সমস্ত অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রণালী বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে সংগঠিত। অর্থ্যাৎ বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কম্পিউটারের কার্য নির্বাহের মূল ভিত্তি। এই বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির মৌলিক দুটি অংক ০ এবং ১ কে বিট বলে। বাইনারি অংকের সংক্ষিপ্ত রূপ বিট।

বাইট: আটটি বিট নিয়ে গঠিত হয় একটি বাইট। কম্পিউটারে বাইটের দ্বারা বর্ণ, অংক এবং বিশেষ চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা হয়।
========================================================================


৪১। অক্ষরের আকার আকৃতি পরিবর্তন করতে হয় -
ফন্ট ডায়লগ বক্সে
৪২। মানুষের দেহকে যদি হার্ডওয়্যার ধরা হয় তাহলে সফ্টওয়্যার- উত্তর: –প্রাণ
৪৩। কম্পিউটারের বুদ্ধি মা্নুষের চেয়ে – কম
৪৪। বিভিন্ন অক্ষর টাইপ করতে কী -বোর্ডের কোথায় চাপ দিতে হয়। -বোতামে (কি তে )
৪৫। কত সালে অ্যাপেল অপারেটিং সিষ্টেম .প্রবর্তন করেন? -১৯৭১ সালে
৪৬। কম্পিউটারে স্মৃতি ধারণ ক্ষমতা কিসে প্রকাশ করা হয়? -বাইট
৪৭। প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার কে?
– লেডি অ্যাডা অগাষ্টা
৪৮। পাওয়ার পয়েন্ট কোন ধরনের প্যাকেজ প্রোগ্রাম? - মাল্টিমিডিয়া
৪৯কম্পিউটারের কাজের গতি কি দ্বারা প্রকাশ করে? -ন্যানো সেকেন্ড
৫০। কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজ পেশায় কি ছিলেন? -গণিতবিদ
৫১। চ্যাট (Chat) অর্থকি?  খোশ গল্পকরা
৫২। মাইক্রো শব্দের অর্থ কি? -ক্ষুদ্রাকার
৫৩। নিউমেরিক কি প্যাড কোথায় থাকে?
-কী-বোর্ডের ডান দিকে।
৫৪সফ্টওয়্যারের অন্তর্ভূক্ত নয় কোনটি? -মনিটর
৫৫ফাইল কপি বা স্থানান্তর প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত নির্দেশ হল -Copy
৫৬একসিস কোন ধরনের প্যাকেজ প্রোগ্রাম? - ডেটাবেজ
৫৭। পাওয়ার পয়েন্ট ফাইলেক কি বলা হয়-
-প্রেজেন্টেশন
৫৮কম্পিউটারে হিসাব নিকাশ করার জন্য কোন সফ্টওয়্যারটি সর্বাধিক উপযোগী? - এম.এস.এক্সেল
৫৯কোন ধরনের প্রিন্টার সবচেয়ে দ্রম্নত গতিতে উন্নতমানের প্রিন্ট প্রদানে সক্ষম? -লেজার প্রিন্টার
৬০কোন কোম্পানির মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে আইবিএম পিসি তৈরী? - ইন্টেল