Multimedia Training Academy
ক্লাশ - ০৩
৩.১ মেমোরি:
মেমোরি শব্দের অর্থ হচ্ছে স্মৃতি। কম্পিউটারের যে অংশে বিভিন্ন তথ্য ও নির্দেশাবলী সংরক্ষণ করে রাখা হয় সেই অংশকে মেমোরি বলে। কম্পিউটারে ইনপুটকৃত তথ্য প্রক্রিয়াকরনের সুবিধার জন্য মেমোরিতে উক্ত তথ্য জমা রাখা হয় এবং প্রয়োজনে তা কাজে লাগানো যায়।
৩.২ মেমোরির প্রকারভেদ :
মেমোরি প্রধানত দুই প্রকার-
মেমোরি শব্দের অর্থ হচ্ছে স্মৃতি। কম্পিউটারের যে অংশে বিভিন্ন তথ্য ও নির্দেশাবলী সংরক্ষণ করে রাখা হয় সেই অংশকে মেমোরি বলে। কম্পিউটারে ইনপুটকৃত তথ্য প্রক্রিয়াকরনের সুবিধার জন্য মেমোরিতে উক্ত তথ্য জমা রাখা হয় এবং প্রয়োজনে তা কাজে লাগানো যায়।
৩.২ মেমোরির প্রকারভেদ :
মেমোরি প্রধানত দুই প্রকার-
১. প্রধান মেমোরি (Primary/Main Memory)
২. সহায়ক মেমোরি (Secondary/Auxiliary Memory)
৩.৩ প্রধান মেমোরি (Primary Memory) t
কম্পিউটারের সিপিইউ এর সাথে সংযুক্ত অভ্যন্তরিন মেমোরিকে প্রথান মেমোরি বলে। কম্পিউটারে ইনপুটকৃত তথ্য প্রথমে প্রধান স্মৃতিতে অবস্থান করে। সিপিইউ কর্তৃক প্রক্রিয়াকরণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রধান স্মৃতিতে তথ্য জমা থাকে। প্রধান মেমোরি ২ প্রকার। যথাঃ ১. RAM ও ২. ROM.
৩.৩.১. র্যাম (RAM) ঃ র্যাম এর পূর্ণ নাম হচ্ছে Random Access Memory| ইহা একটি অস্থায়ী মেমোরি। র্যামকে কম্পিউটারের ওয়ার্ক স্পেস বলা হয়। র্যামে যে কোন সময় যে কোন তথ্য লেখা যায়, পড়া যায়, প্রয়োজনে মুছা যায়। এজন্য র্যামকে লিখন পঠন মেমোরিও বলা হয়। কম্পিউটারে যে ডেটাগুলো ইনপুট করা হয় তা প্রথমে র্যামে জমা হয়। এরপর প্রসেসর র্যাম থেকে ডেটা নিয়ে প্রসেস করে র্যামে দিয়ে দেয়। এরপর মনিটরে দেখতে পাওয়া যায়। কম্পিউটার অফ করলে/বিদ্যুৎ চলে গেলে সকল ডেটা র্যাম থেকে মুছে যায়। এই জন্য র্যামকে অস্থায়ী মেমোরি বলা হয়।
৩.৩.২ রম (ROM) t
রম এর পূর্ণ অর্থ হলো Read Only Memory| এই মেমোরিতে তথ্য শুধু পড়া যায় কিন্তু লেখা সংশোধন করা যায় না। রম একটি স্থায়ী মেমোরি। কম্পিউটারের বিদ্যুৎ চলে গেলেও রমে সংরক্ষিত ডেটা মুছে যায় না। কম্পিউটার অন করার সাথে সাথে রম প্রত্যেকটি যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করে কম্পিউটারকে কাজের উপযোগী করতে সহায়তা করে।
৩.৪ সহায়ক মেমোরি (Secondary Memory) t
কম্পিউটারের যে স্মৃতিতে ডেটা স্থায়ীভাবে রাখা যায় সেই স্মৃতিকে সহায়ক স্মৃতি বলে। এই মেমোরিতে কম্পিউটারের অধিক পরিমান তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ও ইনপুটকৃত ডেটা প্রক্রিয়াকরনের পর প্রক্রিয়াজাত তথ্যসমূহ সংরক্ষনের জন্য সহায়ক মেমোরি ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে কম্পিউটারের সংগে বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি সহায়ক মেমোরি হল হার্ডডিস্ক, সিডি, ডিভিডি, পেন ড্রাইভ ইত্যাদি।
৩.৫ স্টোরেজ ডিভাইস:
কম্পিউটারের যে অংশগুলোতে ডেটা সংরক্ষিত করে রাখা হয় সেই অংশগুলোকে স্টোরেজ ডিভাইস বলে। যেমন ঃ হার্ডডিস্ক, সিডি, ডিভিডি ইত্যাদি। ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে ডেটা কম্পিউটারে ইনপুট করে স্টোরেজ ডিভাইসে সংরক্ষন করে রাখা যায়।
৩.৫.১ হার্ডডিস্ক ঃ ইহা কম্পিউটারের একটি বড় স্টোরেজ ডিভাইস। ইহার মধ্যে অনেক ডেটা রাখা যায়। কম্পিউটারে কাজ করার পর সংরক্ষণ করলে সাধারণতঃ হার্ডডিস্কে স্থায়ীভাবে জমা থাকে। কম্পিউটার অফ করলেও হার্ডডিস্কে জমা থাকা তথ্য মুছে যায় না। এর ধারন ক্ষমতা বর্তমানে ৫০০ গিগাবাইট এর উপর পর্যন্ত হয়ে থাকে।
৩.৫ স্টোরেজ ডিভাইস:
কম্পিউটারের যে অংশগুলোতে ডেটা সংরক্ষিত করে রাখা হয় সেই অংশগুলোকে স্টোরেজ ডিভাইস বলে। যেমন ঃ হার্ডডিস্ক, সিডি, ডিভিডি ইত্যাদি। ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে ডেটা কম্পিউটারে ইনপুট করে স্টোরেজ ডিভাইসে সংরক্ষন করে রাখা যায়।
৩.৫.১ হার্ডডিস্ক ঃ ইহা কম্পিউটারের একটি বড় স্টোরেজ ডিভাইস। ইহার মধ্যে অনেক ডেটা রাখা যায়। কম্পিউটারে কাজ করার পর সংরক্ষণ করলে সাধারণতঃ হার্ডডিস্কে স্থায়ীভাবে জমা থাকে। কম্পিউটার অফ করলেও হার্ডডিস্কে জমা থাকা তথ্য মুছে যায় না। এর ধারন ক্ষমতা বর্তমানে ৫০০ গিগাবাইট এর উপর পর্যন্ত হয়ে থাকে।
৩.৫.২ সিডি (Compact Disk) t সিডি কম্পিউটারের ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসের কাজ করে থাকে। ইহার মাধ্যমে ডেটা/ছবি এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে নেয়া যায়। ইহার ধারনক্ষমতা ৬৫০ থেকে ৮০০ মেগাবাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে।
৩.৫.৩ ডিভিডি (Digital Versatile Disk) t ডিভিডি এর পূর্ণ নাম ডিজিটাল ভার্সাটাইল ডিস্ক। সিডির মতো ডিভিডিও কম্পিউটারের একটি ইনপুট/আউটপুট ডিভাইস। তবে সিডির চেয়ে ডিভিডি বেশী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। এতে কম্পিউটারের ডেটা সংরক্ষণ কাজে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া গান, ভিডিও ছবি ও বিভিন্ন ধরনের ছবি সংরক্ষন করে রাখা যায়।
৩.৫.৪ পেন ড্রাইভ: পেন ড্রাইভ কম্পিউটারের একটি সহায়ক মেমোরি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পেন ড্রাইভের মাধ্যমে ডেটা, তথ্যাদি, প্রোগ্রাম বা অন্যান্য সফটওয়্যার এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর করা যায়। জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি অনেক সময় কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে মুছে যেতে পারে। এই মুছে যাবার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পেন ড্রাইভে ডেটা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়। পেন ড্রাইভ বিভিন্ন কোম্পানীর ও বিভিন্ন ধারনক্ষমতা সম্পর্ন হয়ে থাকে। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানীর ৮ গিগাবাইট পর্যন্ত পেনড্রাইভ পাওয়া যায়।
৩.৫.৪ পেন ড্রাইভ: পেন ড্রাইভ কম্পিউটারের একটি সহায়ক মেমোরি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পেন ড্রাইভের মাধ্যমে ডেটা, তথ্যাদি, প্রোগ্রাম বা অন্যান্য সফটওয়্যার এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর করা যায়। জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি অনেক সময় কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে মুছে যেতে পারে। এই মুছে যাবার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পেন ড্রাইভে ডেটা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়। পেন ড্রাইভ বিভিন্ন কোম্পানীর ও বিভিন্ন ধারনক্ষমতা সম্পর্ন হয়ে থাকে। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানীর ৮ গিগাবাইট পর্যন্ত পেনড্রাইভ পাওয়া যায়।
৩.৬ ক্যাশ মেমোরি (Cache Memory) t
কম্পিউটারের কাজের গতি বৃদ্ধির জন্য প্রসেসর ও প্রধান মেমোরির অন্তবর্তী স্থানে স্থাপিত বিশেষ ধরনের স্মৃতিকে ক্যাশ মেমোরি বলে। ক্যাশ মেমোরি প্রধান মেমোরি অপেক্ষা দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারে। সিপিইউ যে গতিতে কাজ করতে পারে প্রধান মেমোরি সেই গতিতে কজ করতে পরে ন। এই অসুবিধা দুর করার জন্য প্রধান মেমোরি ও সিপিইউ এর মাঝে ক্যাশ মেমোরি ব্যবহৃত হয়। কোন প্রোগ্রাম পরিচলনার সময় যে সকল তথ্য খুব কম সময়ের ব্যবধানে বার বার প্রয়োজন হয় সেই সকল তথ্য প্রধন স্মৃতি থেকে এই ক্যা মোেরিতে রাখা হয়। ফলে ডেটা প্রক্রিয়াকরনের গতি দ্রুত হয়।
৩.৭ মেমোরির ধারনক্ষমতা:
কম্পিউটারের মেমোরির ধারনক্ষমতা বলতে বুঝায় কম্পিউটার তার স্মৃতি স্থানে কতকগুলো বিট বা বাইট সংরক্ষণ করতে পারে। মেমোরির ধারন ক্ষমতা পরিমাপের এককগুলোর মধ্যে সম্পর্ক নিম্নে দেওয়া হলো-
8 বট= ১ বাইট
১০২৪ বাইট= ১ কিলোবাইট (KB)
৩.৭ মেমোরির ধারনক্ষমতা:
কম্পিউটারের মেমোরির ধারনক্ষমতা বলতে বুঝায় কম্পিউটার তার স্মৃতি স্থানে কতকগুলো বিট বা বাইট সংরক্ষণ করতে পারে। মেমোরির ধারন ক্ষমতা পরিমাপের এককগুলোর মধ্যে সম্পর্ক নিম্নে দেওয়া হলো-
8 বট= ১ বাইট
১০২৪ বাইট= ১ কিলোবাইট (KB)
১০২৪ কিলোবাইট = ১ মেগাবাইট (MB)
১০২৪ মেগাবাইট = ১ গিগাবাইট (GB)
১০২৪ গিগাবাইট = ১ টেরাবাইট (TB)
৩.৮ বিট ও বাইট
বিট: কম্পিউটারের সমস্ত অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রণালী বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে সংগঠিত। অর্থ্যাৎ বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কম্পিউটারের কার্য নির্বাহের মূল ভিত্তি। এই বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির মৌলিক দুটি অংক ০ এবং ১ কে বিট বলে। বাইনারি অংকের সংক্ষিপ্ত রূপ বিট।
বাইট: আটটি বিট নিয়ে গঠিত হয় একটি বাইট। কম্পিউটারে বাইটের দ্বারা বর্ণ, অংক এবং বিশেষ চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা হয়।
বিট: কম্পিউটারের সমস্ত অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রণালী বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে সংগঠিত। অর্থ্যাৎ বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কম্পিউটারের কার্য নির্বাহের মূল ভিত্তি। এই বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির মৌলিক দুটি অংক ০ এবং ১ কে বিট বলে। বাইনারি অংকের সংক্ষিপ্ত রূপ বিট।
বাইট: আটটি বিট নিয়ে গঠিত হয় একটি বাইট। কম্পিউটারে বাইটের দ্বারা বর্ণ, অংক এবং বিশেষ চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা হয়।
========================================================================
৪১। অক্ষরের আকার আকৃতি পরিবর্তন করতে হয় -
- ফন্ট ডায়লগ বক্সে
৪২। মানুষের দেহকে যদি হার্ডওয়্যার ধরা হয় তাহলে সফ্টওয়্যার- উত্তর: –প্রাণ
৪৩। কম্পিউটারের বুদ্ধি মা্নুষের চেয়ে – কম
৪৪। বিভিন্ন অক্ষর টাইপ করতে কী -বোর্ডের কোথায় চাপ দিতে হয়। -বোতামে (কি তে )
৪৫। কত সালে অ্যাপেল অপারেটিং সিষ্টেম ৭.০প্রবর্তন করেন?
-১৯৭১ সালে
৪৬। কম্পিউটারে স্মৃতি ধারণ ক্ষমতা কিসে প্রকাশ করা হয়? -বাইট
৪৭। প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার কে?
– লেডি অ্যাডা অগাষ্টা
৪৮। পাওয়ার পয়েন্ট কোন ধরনের প্যাকেজ প্রোগ্রাম? - মাল্টিমিডিয়া
৪৯।কম্পিউটারের কাজের গতি কি দ্বারা প্রকাশ করে? -ন্যানো সেকেন্ড
৫০। কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজ পেশায় কি ছিলেন? -গণিতবিদ
৫১। চ্যাট (Chat) অর্থকি? - খোশ গল্পকরা
৫২। মাইক্রো শব্দের অর্থ কি? -ক্ষুদ্রাকার
৫৩। নিউমেরিক কি প্যাড কোথায় থাকে?
-কী-বোর্ডের ডান দিকে।
৫৪।সফ্টওয়্যারের অন্তর্ভূক্ত নয় কোনটি? -মনিটর
৫৫।ফাইল কপি বা স্থানান্তর প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত নির্দেশ হল -Copy
৫৬।একসিস কোন ধরনের প্যাকেজ প্রোগ্রাম? - ডেটাবেজ
৫৭। পাওয়ার পয়েন্ট ফাইলেক কি বলা হয়-
-প্রেজেন্টেশন
৫৮।কম্পিউটারে হিসাব নিকাশ করার জন্য কোন সফ্টওয়্যারটি সর্বাধিক উপযোগী? - এম.এস.এক্সেল
৫৯।কোন ধরনের প্রিন্টার সবচেয়ে দ্রম্নত গতিতে উন্নতমানের প্রিন্ট প্রদানে সক্ষম? -লেজার প্রিন্টার
৬০।কোন কোম্পানির মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে আইবিএম পিসি তৈরী? - ইন্টেল
No comments:
Post a Comment