Wednesday, January 20, 2021

Class-50 (Print)

Excel এ ফাইল প্রিন্ট করবো কিভাবে

এখন আমি আপনাদের সাথে এক্সেলের একটি প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো সেটি হল, Excel এ ফাইল প্রিন্ট করবো কিভাবে। আমরা এক্সেল ওয়ার্কশীটে  বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরি করে থাকি। কিন্তু হয়তো অনেকেরই জানা নেই যে, এক্সেলে এই ফাইল বা ডকুমেন্ট গুলো প্রিন্ট কিভাবে করতে হয়। এছাড়াও এক্সেল ওয়ার্কশীটে যে ডকুমেন্টটি প্রিন্ট করবেন সেই ডকুমেন্টটি আপনার প্রয়োজন মতো কিভাবে সেটআপ করবেন। অর্থাৎ বলতে চাচ্ছি যে ওয়ার্কশীটের ডকুমেন্টটি কতগুলো পেইজ প্রিন্ট করবেন, ডকুমেন্টের কতটুকু অংশ প্রিন্ট করবেন, পেইজ সাইজ কেমন হবে, মার্জিন কী রকম হবে ইত্যাদি। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই Excel এ ফাইল প্রিন্ট করবো কিভাবে।


এই টেক্সট ভিত্তিট এক্সেল প্রিন্ট টিউটোরিয়াল টির পাশাপাশি আপনি দেখে নিতে পারেন আমাদের ভিডিও টিউটোরিয়াল টি  ও । ভিডিও টিউটোরিয়াল টি করা হয়েছে অফিসি ২০১৯ দিয়ে আর টেক্সট ভিত্তিট এক্সেল প্রিন্ট টিউটোরিয়াল টি করা হয়েছে অফিস ২০১০ দিয়ে ।

যেহেতু এই আলোচনাটি একটু বিশদ তাই প্রিন্টিং অপশন গুলোকে একটু আলাদা আলাদা ভাবে পর্যায়ক্রমে দেখানোর চেষ্টা করবো। তাহলে আশা করা যায় বিষয়টি আপনাদের কাছে সহজ হবে এবং খুব সহজেই বিষয় গুলো বুঝে ফেলবেন। তাই প্রথমেই আমি আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব Excel এ ফাইল প্রিন্ট করার একদম প্রাথমিক কমান্ড গুলো।

 

ফাইল প্রিন্ট করবেন যেভাবেঃ

এক্সেলে ফাইল প্রিন্ট কিভাবে করতে হয় সেটি দেখানোর জন্য প্রথমে আমি একটি এক্সেল ওয়ার্কশীট ওপেন করবো। যেখানে আমার কিছু ডকুমেন্ট রয়েছে এবং আমি এই ডকুমেন্টটি প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে কোন কমান্ড গুলো ব্যবহার করতে হয় সেটি দেখাবো। তাহলেই আপনি চিনে ফেলবেন অপশন গুলো।

 



An Example Excel File for Print

উপরের ছবিতে দেখুন, এক্সেল ফাইল প্রিন্ট কিভাবে করতে হয় সেটি দেখানোর জন্য আমি একটি এক্সেল ফাইল ওপেন করেছি এবং এখানে কিছু ডাটা রয়েছে।

এখন আমরা দেখবো কিভাবে এই এক্সেল ফাইলটি প্রিন্ট করতে হবে। ফাইলটি প্রিন্ট করার জন্য রিবনের File অপশনে ক্লিক করুন, দেখবেন একটি উইন্ডো ওপেন হবে। উইন্ডোতে বাম পাসে লক্ষ্য করলে দেখবেন সেখানে কতগুলো অপশন রয়েছে, এবার সেখানে অপশন গুলোর মধ্যে থেকে Print অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনি ফাইল প্রিন্ট করার কমান্ড সহ প্রয়োজন মতো পেইজ সেটআপ করার অপশন গুলো পেয়ে যাবেন। এছাড়াও উইন্ডোতে ডান পাশের অংশে আপনি ডকুমেন্টের প্রিন্ট করা অংশের প্রিভিউ দেখতে পাবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রিন্ট করার জন্য Print অপশনে ক্লিক করুন।

 



File Printing Command in MS Excel

 

উপরের ছবিতে দেখুন, File অপশন থেকে কিভাবে এক্সেলে ফাইল প্রিন্ট করতে হবে সেই কমান্ড গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

উপরে শুধুমাত্র প্রিন্ট করার কমান্ড গুলো করা হয়েছে আলোচনা ও ছবির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। এবার আমি আপনাদের দেখাবো আপনার কম্পিউটারের সাথে প্রিন্টার সহ বিভিন্ন ডিভাইজ সংযোগ দিবেন কিভাবে এবং কিভাবে একাধিক কপি করার কমান্ড দিবেন।

 

কম্পিউটারের সাথে প্রিন্টার এবং বিভিন্ন ডিভাইজ সংযোগ ও একাধিক পেইজ কপি করবেন যেভাবেঃ

ফাইল প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে আপনাকে আরও একটি বিষয় মনে রাখতে হবে। সেটি হল কোন ফাইল প্রিন্ট করার জন্য অবশ্যই আপনার কম্পিউটারের সাথে প্রিন্টারের সংযোগ থাকতে হবে। আবার এমন হতে পারে যে আপনার কম্পিউটারের সাথে একাধিক প্রিন্টার এর সংযোগ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি কোন অপশন ব্যবহার করে প্রিন্টারের সাথে সংযোগ দেবেন অথবা একাধিক প্রিন্টারের মধ্যে থেকে নির্দিষ্ট প্রিন্টারটির সাথে কিভাবে সংযোগ করবেন সেটি আমি নিচের ছবির মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেবো।

 



How to Command With Printing Devices and Meany Copies

বিভিন্ন ডিভাইজের সাথে প্রিন্টিং কমান্ড ও একাধিক কপি করার কমান্ড উপরের ছবিতে চিহ্নিত করা হয়েছে।

উপরের ছবিতে লক্ষ্য করলে দেখবেন Print অপশনের নিচে Copies অপশনটি রয়েছে। অপশন বক্সটিতে আপনার প্রয়োজন মতো কপি করতে কপির পরিমান টাইপ করুন অথবা আপ-ডাউন Arrow তে ক্লিক করে কপির পরিমান নির্ধারণ করতে পারবেন। এটি গেলো  একাধিক কপি করার কমান্ড, এবার আমরা দেখবো ডিভাইজ সংযোগ করার কমান্ড কোনগুলো।

নির্দিষ্ট ভাবে প্রিন্টিং ডিভাইজ কমান্ড করার জন্য উপরের ছবিতে লক্ষ্য করুন, Printer অপশনে ক্লিক করুন। দেখবেন বিভিন্ন প্রিন্টারের একটি ডিভাইজ লিস্ট আসবে যেখানে আপনি Fax ডিভাইজটি ও দেখতে পাবেন। এছাড়াও যদি নতুন করে কোন প্রিন্টার ডিভাইজ সেট করতে চান তাহলে Add Printer অপশনটি ব্যবহার করে নতুন প্রিন্টার ডিভাইজ সংযোগ দিতে পারবেন। এক কথায় আপনি এই অপশনটি ব্যবহার করে এক বা একাধিক প্রিন্টার সিলেক্ট করতে পারবেন।

এবার আমরা দেখবো এক্সেল ওয়ার্কশীট প্রিন্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সেটিংস গুলো। সেটিংস এর মধ্যে প্রথমে আমরা দেখবো Active Sheet কিভবে প্রিন্ট কমান্ড করবেন।

 

প্রিন্ট করার জন্য পেইজ সেটআপ করবেন যেভাবেঃ

এক্সেল ওয়ার্কশীটের ডাটা গুলো প্রিন্ট করার জন্য Settings এ থাকা প্রথম অপশনটি ব্যবহার করে আপনি ওয়ার্কশীটে থাকা ডাটা গুলো বিভিন্ন ভাবে প্রিন্ট কমান্ড দিতে পারবেন। চলুন অপশন গুলোর সাথে একটু পরিচিত হওয়া যাক। অপশনটিতে ক্লিক করলে একটি অপশন লিস্ট আসবে যেখানে তিনটি অপশন দেখতে পাবেন। অপশন গুলো হলঃ Print Active Sheets, Print Entire Workbook ও Print Selection.

আপনি যদি একটিভ থাকা ওয়ার্কশীটের ডাটা গুলো প্রিন্ট করতে চান তাহলে Print Active Sheets অপশনে ক্লিক করুন। আবার ওয়ার্কবুকে থাকা একাধিক শীটের সকল ডকুমেন্ট প্রিন্ট করতে চাইলে Print Entire Workbook এ ক্লিক করুন। আর যদি ওয়ার্কশীটে থাকা ডকুমেন্টের নির্দিষ্ট অংশ প্রিন্ট করতে চান, তাহলে ডকুমেন্টের সেই অংশটুকু প্রথমে সিলেক্ট করুন তারপর Print Selection এ ক্লিক করুন। তাহলে ডকুমেন্টের শুধুমাত্র সিলেক্ট করা অংশটুকু প্রিন্ট হবে।

 



Use of Page Setting Option for Excel File Print

 

উপরের ছবিতে দেখুন, ওয়ার্কশীটে থাকা ডাটা গুলো বিভিন্ন ভাবে প্রিন্ট কমান্ড দিতে যে অপশন গুলো ব্যবহার করতে হয় সেই অপশন গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

আবার ধরুন আপনি দশটি পেইজের মধ্যে ৫ নাম্বার থেকে ১০ নাম্বার পেইজ পর্যন্ত প্রিন্ট করবেন। সেক্ষেত্রে Print Active Pages অপশনের নিচের অংশে Pages ও to নামের দুটি বক্স অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে আপনি Pages বক্সে ৫ টাইপ করুন এবং to বক্সে ১০ টাইপ করুন। তাহলে ওয়ার্কশীটে একাধিক পেইজের মধ্যে থেকে যে নির্দিষ্ট পেইজ নাম্বার টাইপ করা হয়েছে অর্থাৎ ৫ নাম্বার পেইজ থেকে ১০ নাম্বার পেইজ পর্যন্ত পেইজ গুলো প্রিন্ট হবে।

 

 

নির্দিষ্ট সংখ্যার পেইজ নির্বাচন করুন

নির্দিষ্ট সংখ্যার পেইজ নির্বাচন করুন

উপরের ছবিতে দেখুন, নির্দিষ্ট সংখ্যার পেইজ প্রিন্ট করার কমান্ড গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

প্রিন্ট Settings এ Collated করবেন যেভাবেঃ

এবার আমরা প্রিন্ট সেটিংস এর আরও একটি অপশন Collated এর কাজ সম্পর্কে জানবো। এই অপশনে ক্লিক করলে আপনি দুটি কমান্ড পাবেন যার একটি হল Collated এবং অন্যটি হল Uncollected. এই অপশনটি ব্যবহার করে আপনি পেইজ গুলো প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা আনতে পারবেন। যেমন ধরুন আপনি পাঁচ টি পেইজ প্রিন্ট করবেন, সে ক্ষেত্রে যদি Collated অপশনটি সিলেক্ট করেন তাহলে পেইজ গুলো সিরিয়াল অনুযায়ী একটার পর একটা পেইজ প্রিন্ট হবে। আর যদি আপনি Uncollected অপশনটি সিলেক্ট করেন তাহলে, আপনি Copes অপশনে যতগুলো কপির কমান্ড করবেন প্রথম পেইজের ততগুলো কোপি বের হওয়ার পর দ্বিতীয় পেইজের অনুরূপ কপি আসবে। এই ভাবে প্রতিটি পেইজের নির্ধারিত পরিমান কপি বের হওয়ার পর পরবর্তী পেইজের একই পরিমান কপি বের হবে। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

 



Use of Collated Option for File Print in MS Excel

উপরের ছবিতে লক্ষ্য করুন, প্রিন্ট সেটিংস এ Collated অপশনটি চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

পেইজ Orientation করবেন যেভাবেঃ

চলুন এবার আমরা দেখি পেইজ Orientation কিভাবে করতে হয়। Orientation এর কাজ নিশ্চয় জানেন ? না জেনে থাকলেও কোন সমস্যা নেই, আমরা আপনাদের জানিয়ে দেবো। এই অপশনটি মূলত পেইজে ব্যবহারের ধরন পরিবর্তন করার জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন ধরুন আপনি পেইজটি দৈর্ঘ্যের দিকে অথবা প্রস্থের দিকে প্রিন্ট করবেন। সে ক্ষেত্রে Orientation এ ক্লিক করলে সেখানে দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যার একটি হল Portrait Orientation এবং অন্যটি হল Landscape Orientation. যদি পেইজটি দৈর্ঘ্যের দিকে প্রিন্ট করতে চান তাহলে Portrait Orientation এ ক্লিক করুন। আর যদি প্রস্থের দিকে প্রিন্ট করতে চান তাহলে Landscape Orientation এ ক্লিক করুন। Orientation অপশনটি ব্যবহার করার পর যে ফাইলটি প্রিন্ট করবেন সেই প্রিন্ট করা ওয়ার্কশীটের প্রিভিউ উইন্ডোতে দেখতে পাবেন।

 



Use of Orientation Option for File-Print in Excel

 

উপরের ছবিতে লক্ষ্য করুন, Orientation এর অপশন গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

আপনি যদি ফাইল প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে Portrait Orientation ব্যবহার করেন তাহলে প্রিন্ট পেইজের আকারটি হবে নিচের ছবির মতো। নিচের ছবিতে ফাইল প্রিন্ট করার জন্য Portrait Orientation এর প্রিভিউ দেখানো হল।

 



Use of Portrait Orientation for File-Print in Excel

 

উপরের ছবিতে Portrait Orientation এর প্রিভিউ দেখানো হয়েছে। এবার আমার Landscape Orientation এর প্রিন্ট প্রিভিউ দেখবো, তাহলে আপনার Orientation সম্পর্কে পুর ধারনা চলে আসবে।

 



Use of Landscape Orientation Option for File-Print in Excel

 

উপরের ছবিতে Landscape Orientation এর প্রিন্ট প্রিভিউ দেখানো হয়েছে। ফাইল প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে কিভাবে Orientation ব্যবহার করতে হয় আশা করা যায় সেটি জেনে ফেলেছেন। এখন আমরা ফাইল প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে আর কি কি Settings অপশন রয়েছে সেগুলো দেখবো এবং আলোচনা করবো।

 

পেইজ সাইজ সেট করবেন যেভাবেঃ

Excel এ ফাইল প্রিন্ট করার জন্য এবার আমরা দেখবো পেইজের সাইজ কিভাবে সেট করতে হয়। বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টে বিভন্ন ধরনের পেইজ ব্যবহার করা হয়। আমরা সাধারণত কোন ফাইল প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে A4 পেইজ সাইজ বেশি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তো একই পেইজ সাইজ ব্যবহার হবে এমনটা নাও হতে পারে। আর তাই Excel এ ফাইল প্রিন্ট করার জন্য Print উইন্ডোতে Settings এর অপশন গুলোর মধ্যে পঞ্চম অপশনটি হল পেইজ সাইজ সিলেকশন অপশন। এই অপশনে ক্লিক করলে একটি পেইজ সাইজ লিস্ট পাবেন। লিস্ট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় পেইজ সাইজটি সিলেক্ট করে তাতে ক্লিক করুন। তাহলে সিলেক্ট করা পেইজ সাইজ অনুযায়ী পেইজ প্রিন্ট হবে।

 



Setup Pages Size in Print Settings Option

উপরের ছবিতে দেখুন, প্রিন্ট করার জন্য পেইজ সাইজ সিলেক্ট করার কমান্ড গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার আমরা দেখবো কিভাবে পেইজে মার্জিন নিতে হয়। এবং এর সাথে সাথে আপনিও Excel এ ফাইল প্রিন্ট করার সকল কমান্ড গুলো বুঝে ফেলবেন এবং সফল ভাবে Excel এ ফাইল প্রিন্ট করতে পারবেন।

 

প্রিন্ট করা পেইজে মার্জিন ব্যবহার করবেন যেভাবেঃ

পেইজে ব্যবহৃত ডকুমেন্টের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য মার্জিন ব্যবহার একটি গুরত্বপূর্ণ বিষয়। আর তাই প্রিন্ট করা পেইজে মার্জিন ব্যবহার করার জন্য Print উইন্ডোতে Settings আর ষষ্ঠ অপশন হল মার্জিন। এই অপশনে ক্লিক করলে একটি মার্জিন লিস্ট আসবে, লিস্ট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় মার্জিনটি সিলেক্ট করে ক্লিক করুন। তাহলে সিলেক্ট করা মার্জিন প্রিন্ট করা পেইজে চলে আসবে।

 



Use of Margins in Excel Printing Pages

উপরের ছবিতে দেখুন, প্রিন্ট করা পেইজে মার্জিন ব্যবহার করার কমান্ড গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

এই ছিল আমাদের Excel এ ফাইল প্রিন্ট কিভাবে করতে হয় সম্পর্কে আলোচনা। আমি চেষ্টা করেছি Excel এ ফাইল প্রিন্ট করার সকল কমান্ড গুলোক আপনাদের সাথে সহজ ভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য। যদি আমার এই আলোচনা আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক দিন এবং শেয়ার করুন অন্যদের সাথে। আর কমেন্ট করে আপনার মতামত আমাদের জানান, আমরা চেষ্টা করবো আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো কিভাবে.কম এ দেয়ার জন্য। মাইক্রোসফট এক্সেল এর নানা বিষয়ের তথ্য জানতে কিভাবে.কম এর সাথেই থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

কিভাবে Microsoft Excel এ এক শীটের ডাটা অন্য শীটে নেয়া যায়

অনেক সময় MS Excel প্রোগ্রামে কাজ করার ক্ষেত্রে এমন হয় যে, এক শীটের ডাটা অন্য শীটে ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন ধরুন আপনি গ্রেটিং পদ্ধতিতে MS Excel এ একটি রেজাল্টশীট তৈরি করতে চান। সে ক্ষেত্রে একটি ওয়ার্কশীটে ছাত্রদের নাম ও নাম্বার দিয়ে একটি টেবিল তৈরি করলেন এবং অন্য একটি শীটে সেই একই নাম্বারের উপরে ভিত্তি করে গ্রেটিং পদ্ধতিতে জি. পি. এ. বের করার জন্য আলাদা একটি টেবিল তৈরি করলেন।


 



A Marks Sheet from a Result Sheet in Excel

উপরের ছবিতে Marks শীটের টেবিলে ছাত্রদের নাম ও নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে।



A Grade Sheet from Result Sheet in Excel

উপরের ছবিতে Grade শীটের টেবিলে ছাত্রদের পয়েন্ট ও গ্রেট বের করার জন্য টেবির তৈরি করা হয়েছে ।

এ পর্যায়ে আমরা ওয়ার্কশিটের ডিফল্ট নামগুলো পরিবর্তন করবো। যেমন ধরুন ১ম শীটের নাম দেয়া হল Marks এবং একই ভাবে ২য় ওইয়ার্কশীটের নাম দেয়া হল Grade ( নাম পরিবর্তন করা বাধ্যতামুলক নয়, তবে বোঝার জন্য নাম দিয়ে রাখা ভালো । )

 



Rename of More Sheet in Excel

উপরের ছবিতে দেখুন, দুটি শীটের আলাদা নাম দেয়া হয়েছে ।

এখন যদি আপনি Marks ওয়ার্কশীটে  ডাটা পুট করে সেই একই ডাটা Grade ওয়ার্কশীটে ব্যবহার করতে চান, তাহলে ফর্মুলা ব্যবহার করে দুটি ওয়ার্কশীটের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। যাতে Marks ওয়ার্কশীটে ডাটা পুট করলে সেই ডাটা অটোম্যাটিক ফর্মুলা অনুযায়ী Grade ওয়ার্কশীটে তা ব্যবহার যায়। সে ক্ষেত্রে Grade ওয়ার্কশীটটি  এক্টিভ রেখে নিচের ছবি অনুযায়ী B3 সেলটি সিলেক্ট করুন। তারপর ফর্মুলা বারে লিখুন =Marks!B2 তারপর ইন্টার চাপুন, তাহলে Grade শীটে মার্ক টেবিলের ছাত্রদের নাম চলে আসবে। অথবা B3 সেলেটি সিলেক্ট করে ফর্মুলা বারে = লিখার পর পুনরায় Marks শীটটি একটিভ করুন, দেখবেন ফর্মুলা বারে =Marks! লেখাটি চলে এসেছে। তারপর ছাত্রদের নাম গুলো থেকে প্রথম নামের সেলটিতে ক্লিক করুন, দেখবেন ফর্মুলা বারে =Marks! লেখাটি পাশে সেল এড্রেসটি চলে এসেছে। অর্থাৎ =Marks!B2 ফর্মুলাটি সম্পূর্ণ হয়েছে। যেহেতু মার্ক শীটের টেবিলে B2 সেলে ছাত্রদের নাম রয়েছে। এবার ইন্টার চাপুন তাহলে দেখবেন Marks ওইয়ার্কশীটের ডাটাটি Grade ওইয়ার্কশীটে চলে এসেছে। ( অন্য শীটের ডাটা নেবার ক্ষেত্রে =  দেবার পর সেই শীটের নাম দিয়ে তার ঠিক পরের ! দিতে হয় এবং তারপর সেই সীটের যে সেলটি দরকার তা লিখতে হয় । )

 



Use of Formula for Connected Two Sheet in Excel

উপরের ছবিতে লক্ষ্য করুন, Grade ওয়ার্কশীটে Marks ওয়ার্কশীটের ডাটা ব্যবহার করার জন্য সেল সিলেক্ট করে ফর্মুলা ব্যবহারের জন্য = লিখা হয়েছে। এবার নিচের ছবিতে দেখুনঃ

 



Use of Formula for Connected Two Sheet in Excel 2

এবার উপরের ছবিতে লক্ষ্য করুন, Marks ওয়ার্কশীট একটিভ করার কারনে ফর্মুলা বারে শীটে নাম ও আশ্চর্য বোধক চিহ্ন (!) চলে এসেছে। তারপর একটি নামের সেল সিলেক্ট করার কারনে ফর্মুলা বারে ফাংশনের পাশে সেল এড্রেসটি চলে এসেছে। এবার আমরা ইন্টার চেপে দেখবো ফাংশনটি কিভাবে কাজ করেছে। নিচের ছবিতে দেখুনঃ

 





Use of Formula for Connected Two Sheet in Excel 3

উপরের ছবিটি লক্ষ্য করুন, Marks ওয়ার্কশীটের ডাটা Grade ওয়ার্কশীটে চলে এসেছে এবং ফর্মুলা বারে ফাংশনটি Show করছে, যে ডাটাটি Marks ওয়ার্কশীটের B2 সেল থেকে নেওয়া হয়েছে। এবার Auto Fill Option ব্যবহার করে Marks ওয়ার্কশীটের টেবিলে অন্যান্য ছাত্রদের নাম গুলো Grade ওয়ার্কশীটে ব্যবহার করতে পারবেন। নিচের ছবিতে দেখুনঃ

 



Use of Formula for Connected Two Sheet in Excel 4

উপরের ছবিতে লক্ষ্য করুন, Auto Fill Option ব্যবহার করে Marks ওয়ার্কশীটের সকল ছাত্রদের নাম Grade ওয়ার্কশীটে ব্যবহার করা হয়েছে। এখন আপনি একই ভাবে রোল নাম্বার ও Marks ওয়ার্কশীট থেকে Grade ওয়ার্কশীটে ব্যবহার করতে পারবেন। এই ভাবে Microsoft Excel এ এক শীটের ডাটা নিয়ে অন্য শীটে কাজ করতে পারবেন।

No comments:

Post a Comment